adsterra

পাঠক্রম কাকে বলে?

শিক্ষা হলো এক মানুষকে সম্পূর্ণতা দেয়ার জন্য পাঠক্রমের সৃষ্টি। পাঠক্রমের তার আরাধ্য দেশ জাতি সমাজ প্রতিষ্ঠান প্রভৃতির পূর্ণতা দেয়। প্রকৃত গত দিক থেকে বিচার করলে মানুষের গুণগত শিক্ষার মানকে স্পষ্টতা প্রদান করে পাঠক্রম শিক্ষার মাধ্যমে। এর স্বরূপটি পাঠক্রমে কার্যকারিতার মধ্যে দিয়ে প্রকাশ পায়। পাঠক্রমের মধ্যে দিয়ে যে ব্যক্তি তার শিক্ষার্থী বিকাশ গঠন হয় তা নয় আরো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শিক্ষকের গুণগত দিক। এই দুই বিশেষ বিষয় নিয়ে শিক্ষা সার্থক হয় নয়তো শিক্ষা নিরর্থক রূপে পরিনত হয়। শুধুমাত্র কি পাঠক্রম শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে পড়ানো হবে এমনটা নয় পাঠক্রমের স্থান অর্থাৎ পরিবেশ শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বভার গ্রহণ করা। পাঠক্রম থেকে আরো অন্যান্য বিশেষ দিক উঠে আসে যার জন্য ও পাঠক্রম উন্নত পর্যায়ে গঠন হয় তাহলো শিক্ষার্থীর মানসিক দার্শনিক বৈশিষ্ট্য শিক্ষার্থীর পাট নেওয়ার ক্ষমতা প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদা।  শুধু তাই নয় পাঠক্রমের মধ্যে শিক্ষার্থীর বিশেষ দ্রষ্টব্য তিন শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়গুলো হলো শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত মানসিক সামাজিক প্রাকৃতিক নান্দনিক বৈষম্য প্রভৃতি দিকের উপর বিষয়ভিত্তিক বিবেচনা করে গড়ে ওঠে পাঠক্রম। পাঠক্রমের গড়ে ওঠার ভিত্তিতে দার্শনিক মানসিক ঐতিহাসিক সামাজিক বিজ্ঞান পাঠ্যক্রম ধারণা পাঠ্যপুস্তক বিবেচনা রচনানীতি পাঠক্রমের উন্নতি সাধনের পথে মূল্যবোধ গত দিক প্রভৃতি দিক সম্পর্কে গড়ে ওঠে। নীতিগত দিক থেকে পাঠক্রম এর অর্থ হল কারিকুলাম হলো পাঠক্রম এর ইংরেজি প্রতিশব্দ যা উঠিয়ে দিয়েছে লেটিন শব্দ সিউড়ি থেকে যার অর্থ হলো সঠিক উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য নির্দিষ্ট দিকে পৌঁছানো নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছানোর। এখন পরবর্তীতে সময়ের সাথে সাথে পাঠক্রমের অর্থ এর পরিবর্তন হয়েছে। সমাজের পরিবর্তন হয়েছে নতুন উদ্দ্যেশ্যের পথে মানুষ প্রতিপদ করেছে বর্তমান দিনে ব্যক্তি শিক্ষাজীবনের শুরু শিক্ষা অর্জন করাই নয় তা জন্মগত প্রাপ্য। বর্তমান সমাজের পর্দাপ্রথা নয় নারী-পুরুষ উভয়ই পাঠক্রম গ্রহণের সমসুযোগ দেওয়া হয়। জীবনকে কেন্দ্র করে আধুনিক শিক্ষায় পাঠক্রম রচনার হয়েছে। জীবনের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীভূত করা হয়েছে পাঠক্রম কে। শিক্ষায় সমাজের পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে তাই নতুনভাবে যুব সমাজের কাছে পাঠক্রম গড়ে উঠেছে নতুনভবে। এছাড়াও শিক্ষায় রাজনীতি কত প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। মানুষের চেতনার পরিবর্তনের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক উন্নতিতে প্রাকৃতিক গত দিক থেকে পাঠক্রমের তার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় পাঠক্রম শুধুমাত্র শিক্ষার্থীকে শিক্ষায় শিক্ষিত নয় পেশাগত দিক থেকে উন্নত করেছে সেই কারণে পেশাগত শিক্ষা ও গঠিত হয়েছে পাঠক্রম এর মাধ্যমে এছাড়া বর্তমান সমাজে পাঠক্রম কে গণিত ভূগোল প্রযুক্তিবিদ্যা শিক্ষা শিক্ষা প্রদান করা হয়। শিক্ষার্থী চাহিদার মধ্যে ভিন্ন পরিবর্তন ধরা পড়ে যায় পরে যার দরুন পাঠক্রমের পাঠদান পদ্ধতি ভিন্ন রকম হয়।  পাঠক্রম পদ্ধতির শুধুমাত্র পুঁথিগত শিক্ষায় নয় ব্যক্তিতান্ত্রিক মানসিক ও সমাজের গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান অর্জন ও শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর প্রভাব সমানভাবে হয়ে থাকে। পাঠক্রম হল একটি মানুষের সবটুকু পরিপূর্ণতা প্রাপ্ত সঠিক মাধ্যম শুধুমাত্র স্কুলে চলে আসা প্রায় সময় ধরে পুঁথিগত বিদ্যায় নয় একজন শিক্ষার্থীর সম্পূর্ণ জ্ঞানলাভের সঠিক পন্থা। যেমন লাইব্রেরি কর্মক্ষেত্র পরীক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ক্লাসরুম ক্রীড়াক্ষেত্রে থেকে ঘিরে শিক্ষা প্রদান করা হয়। একজন পাঠদানকারী জীবনকে পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনে তাগিদে তার কাজকর্ম তার জ্ঞান প্রকৃতিকে বলে পাঠক্রম। ব্যক্তিত্বের মানের প্রকাশ প্রাপ্তি তার নৈতিক দৈহিক ব্যবহারিক পরিবর্তন প্রকৃতি হল পাঠক্রম। এছাড়া একটি শিশু নীতিগত মানসিক প্রাকৃতিক সমাজগত রাজনৈতিক প্রভৃতির রচিত পূর্ণ কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে পাঠক্রম।
 পাঠক্রম হলো লেখাপড়া কাজকর্মের দিকে নির্দিষ্ট পথে পৌঁছানো। নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য নির্দিষ্ট পথ অবলম্বন করতে হয় এবং সেইজন্য পাঠক্রম সহায়তা করে। পাঠক্রম শিক্ষক এর সাহায্যে শিক্ষার্থীকে তার বৌধিক নৈতিক সম্পূর্ণ জ্ঞান দানের সমর্থক। শিক্ষার্থীর গতানুগতিক সময় ধরে পাঠক্রমের যে নীতি চলে আসছিল অগ্রগতির যুগে সেই নীতির রূপান্তর ঘটিয়ে পাঠক্রম শিক্ষার্থীকে এক নতুন শিক্ষাদানের সংকল্প করে।
 পাঠক্রমের সাফল্য তখনই সম্ভব হবে যখন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের সক্ষম হবে এবং সে তার তাকে সমাজে সৃষ্টি করতে পারবেন। নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকলে পাঠক্রম এর মাধ্যমে সে পথ পাওয়া সম্ভব। শিক্ষার্থীর জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে পাঠক্রম কিভাবে পথ চলবে সে কিভাবে তার অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাবে একজন শিক্ষার্থীর মানসিক চিন্তা ভাবনা থাকে সে চিন্তাভাবনাগুলোকে গড়ে তোলে পাঠক্রম। এবং সঠিক পন্থা মাধ্যমে তার ওপর কার্যকারিতা করে তোলে। শিক্ষা বিজ্ঞান কি শুধুমাত্র শিক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে স্থগিত রাখলেও চলবে নাকি শ্রেণীকক্ষের বাইরে পরিস্থিতি পরিবেশ কমিটির মধ্যে দিয়েও তাকে সচেতন করে তুলতে হবে যাতে ঝড়-ঝঞ্ঝার মধ্যে দিও একটা ক্ষুদ্র গাছ বৃহৎ গাছ হওয়ার আগেই উঠে না যায়। 
Reactions

Post a Comment

0 Comments