adsterra

শিশুর অপসংগতিমূলক আচরন এর কারণ।

শিশুর চাহিদাগুলি আক্ষেপ রয়ে গেলে, শিশুর মানসিক স্থিতি দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে। সেই কারণ হেতু শিশু বিভিন্ন ভাবে তার রিঅ্যাকশন গুলো বের করে। যদি কোন শিশুকে স্বাধীনতা চাহিদাগুলো ভালোবাসা এবং তার নিজেকে প্রতিষ্ঠা এইসব না প্রকাশ করতে দেওয়া যায় তাহলে শিশুর  অসামাজিক আচরণ ঘটায় এবং যা তার ব্যবহার ও কথার মাধ্যমে প্রকাশ পায় এইসব কারণ হেতু সে নিজের ব্যক্তিত্বের প্রকাশ করতে পারে না। এছাড়া সমাজের অন্যান্য সকল মানুষের সাথে তালে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না। এবং যার দরুন শিশুর মধ্যে কিছু অস্বাভাবিক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। এই অপসংগতিমূলক আচরণ গুলি হল-
  1.  আক্রমণাত্মক মনোভাব "Aggressive behaviour"
  2.  নিরাপত্তার অভাব "Lack of securit"
  3.  মানসিক দ্বন্দ্ব "Mental conflict"
  4.  অপরাধবোধ "Senses of guilt"
  •  আক্রমণাত্মক মনোভাব "Aggressive behaviour":-
 আক্রমণাত্মক মানসিকতা জন্ম নেয় বলে শিশু সকল কার্যকারিতা অপসংগতিমূলক হয়। এই আক্রমনাত্মকতার কারণ হেতু শিশু সকলের প্রতি হিংসাত্মক আচরণ প্রদান করে। যার ফলে সে দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি রুষ্টভাব প্রদান করে। প্রাকৃতিক যেমন গাছপালা পশুপাখি উপর নিষ্ঠুর আচরণ করে। 
  •  নিরাপত্তার অভাব "Lack of securit":-
 শিশুর মধ্যে নিরাপত্তার অভাব মানে শিশু বাহির হইতে যে সকল জিনিসের প্রতি ভয়় এবংযে সকল জিনিসের প্রতি ভয় এবং সে সকল জিনিসের প্রতি ভয় এবং প্রকাশ পায়। স্কুলের হোমওয়ার্কক সঠিকভাবেস্কুলের হোমওয়ার্ক সঠিকভাবে না করাই কঠোর শাস্তি হয় এছাড়াও সকলের হাসির পাত্র হলেে নিজেকে এছাড়াও সকলের হাসির পাত্র হলে নিজেকে সকলেের থেকে এছাড়াও সকলের হাসির পাত্র হলে নিজেকে সকলের থেকে গুটিয়ে রাখে। 
  •  মানসিক দ্বন্দ্ব "Mental conflict":-
 শিশু অনেক সময় এমন সকল ইচ্ছা প্রকাশ ঘটাতে চাই যা সমাজের উপযোগী নয় এবং যার ফলে সমাজ তা করার আদেশ দেয় না এর ফলে শিশু নিজেকে প্রকাশ করতে পারে না। এছাড়াও উঁচুুু ক্লাসের ছেলেময়েদের রেগিং এর শিকার হতে হয় এর ফলে সে এক মানসিক আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে বাঁচে যদি সে অসামাজিক বিরোধী কাজের মাধ্যমে সমস্যা সলভ করে নেয় তাহলে তার মানসিক দ্বন্দ্ব থাকে না যদি তাতেও তার নাা মেটে তাহলে তার মধ্যে মানসিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। 
  •  অপরাধবোধ "Senses of guilt":-
 অপরাধবোধ শিশুকে করে তোলে কারণ শিশু নিজেকে অপরাধী করে তোলে এর মেইন কারণ হলো সকলের নিন্দা অপমানজনক সমালোচনা যার ফলে শিশু অপরাধজনক কাজকর্ম করে। 
 এ ছাড়া আরও দুটি ভাগে শিশুর অপসংগতি ভাগ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ নিম্নে প্রকাশিত হলো:-
  1.  প্রাকৃতিক গত কারণ:- এই প্রাকৃতিক গত কারন কে  আবার দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। 
  •  বাসস্থানগত কারণ
  •  শিক্ষালয়গত কারণ
বাসস্থানগত কারণ:- বাসস্থান মধ্য হইতে যে অসুস্থ অস্বাস্থ্যক অপসংস্কৃতি পরিবেশ সৃষ্টি হয় তার ফলে শিশুর আচরণের মধ্যে দুর্ব্যবহার ও কুচিন্তা যুক্ত্ মানসিকতা তৈরি হয়, এর ফলে শিশুর মানসিক চিন্তা ধারা অন্যায় কাজ কর্মের প্রতি উদ্যমী হয়। শিশু এই পথ আশ্রয় করে। যা অসামাজিক নীতি গঠন করে। 
 শিক্ষাগত কারণ:- শিশু শিক্ষার্থীর বিভিন্ন দিক পরিলক্ষিত হয় এই অপসংগতি করার পিছনে সেই কারণ গুলি হল-
  •  এমন পাঠক্রম যা শিশুর উপযোগী নয়:-
 শিক্ষা ক্ষেত্রে শিশু যদি নিজেকে প্রদর্শিত করতে না পারে কিংবা যদি অসুবিধাজনক পাঠদান শিক্ষা ক্ষেত্র সৃষ্টি হয় তাহলে এমন দেখা যায়। 
  •  অসম্পূর্ণ পাঠদান:- শিক্ষকের ভয়ে শিশু পাঠ্যপুস্তক জ্ঞান খাপছাড়া থাকে। চাঁদ দরুন সে নিজের অসম্পূর্ণ পাঠদান প্রাপ্ত করতে পারে না। 
  •  অপসংগতির প্রভাব:- বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থী ভিন্নরকম মানসিকতা নিয়ে বাঁচে এর ফলে ভালো শিশু অসৎ সঙ্গে পড়ে গিয়ে কুকর্ম প্রবণতা জন্মায়। এবং তার ফলে তার আচরণের মধ্যে তার ব্যবহার ধরা পড়ে। 
  •  স্কুল ও গৃহ এর পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর প্রভাব:- গৃহ স্কুলের পরিবেশ সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ না হলে কিংবা হাট-বাজার বা কলকারখানার পাশে থাকলে তার আওয়াজে শিক্ষাদান বিনষ্ট হয় এর ফলে অপসংগতির শিশুর মধ্যে আসে। 
  •  এছাড়াও আরো কয়েকটি অপসংগতির কারণ হলো:-
  •  চুরি করা:- অনেক ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এমন চৌর্যবৃত্তির মানসিকতা দেখা যায়। যার ফলে সে নিজের শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের বই খাতা পেন্সিল পেন রাবার পেন্সিল বক্স বইয়ের স্টিকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রসাধনী চুরি করে। এছাড়াও আত্মসন্তুষ্টি এবং তার কাছে সেই জিনিস গুলি না থাকার কারণে বা পারিবারিক অভাবে কাঙ্খিত  জিনিসগুলি না পাওয়ার কারণে চুরি করে বসে। 
  •  স্কুল ছুট পড়ুয়া:- শিক্ষকের প্রহারে বা ভয়ঙ্কর ব্যবহারে বা আকর্ষনহীন শ্রেণীকক্ষ পঠন-পাঠনের কৌশলের কারণে শিক্ষার্থী স্কুল থেকে পালায় আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শিক্ষার্থীর পরিবারের অভাব-অনটন বা অভিভাবকের দুর্বলতার কারণে শিক্ষার্থী স্কুলছুট হতে বাধ্য হয়। 
  •  ভয় পাওয়া:- অকষ্মাৎ ভয় পাওয়া শিক্ষার্থীর একটি স্বাভাবিক প্রবণতা কিন্তু বিদ্যালয়ের বা শিক্ষাক্ষেত্রে পঠন-পাঠনের সময় শিক্ষকের কাছে কোন সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন করতে শিক্ষার্থীর ভয় পায় আবার কখনো অতি শৃঙ্খলা যাঁতাকলে পড়ে শিক্ষার্থী বিদ্যালয় যেতেই ভয় পায়। 
  •  মিথ্যে কথা বলা:- ছাত্রছাত্রীরা অনেক সময় না স্কুলে আসার কারণ দেয় শারীরিক অসুস্থতা, আসলে কঠোর শিক্ষকের ভয়ে সেদিন সে স্কুল কামাই করে। অনেকে আবার সুনামের জন্য মিথ্যা কথা বলে থাকে। 
  •  যৌনগত অপরাধ:- শিশুর খারাপ সংগতি এবং অশ্লীল পুস্তক পাঠ দান এছাড়াও অশ্লীল ব্যবহার  এছাড়া অন্য শিশুদের সহিত অশ্লীল কুকর্ম করা যৌনগত অপরাধ এর দিকে প্রবণতা প্রখর করে। 
  •  নেতিবাচক মানসিকতা:- অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষকের আদেশ কে ঘিরে শিশুদের মধ্যে অনুরূপ আলাদা কাজ কর্ম করে তখন তাদের মধ্যে নেতিবাচক আচরণ লক্ষ্য করা যায়। শিশুর স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হলে কিংবা অত্যাধিক শাসনের ফলে তারা এই নীতিতে আগ্রহী হয়। 
  •  আক্রমনাত্মক ব্যবহার:- অনেক সময় দেখা যায় স্কুলের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীরা একে অপরের উপর অধিপত্য দেখানোর জন্য তাদেরকে ভয় দেখায় মারধর করে এবং অন্যদের উপর অন্যায় অত্যাচার করে। 
2. জন্মগত কারণ:- অনেক শিশুই অনেেক সময় অনেক শিশুই অনেক সময় অনেক শিশুই অনেক সময় অনেক শিশুই অনেক সময় মিরকি অনেক শিশুই অনেক সময় মৃগী,  হাঁপানি, বিকলাঙ্গ হয়ে থাকে আসলে এই সমস্ত কিছু তারা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়ে থাকে এর ফলেে এই সকল শিশু অন্য শিশুদের তুলনায় আলাদা ব্যবহার করে। এরা নিজো গৃহ হতে বাইরে বেরোতে ভয় পায় অন্য শিশুরা যাতে ওদের মজা না ওড়াতে পারে তাই এরা হীনমন্যতায় ভোগে। আবার অনেক সময বাবা-মার আইকিউ যদি কম হয়় সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরাও আইকিউ কম হয়ে থাকে। 

Reactions

Post a Comment

0 Comments