adsterra

শিক্ষামূলক ব্যবস্থাপনা কাকে বলে?

শিক্ষামূলক ব্যবস্থাপনা

প্রাচীন কালর শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এতটাও জটিল ছিল না, কিন্তু বর্তমান চিন্তা ধারা অনুযায়ী মানুষের নৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রাচীনকালে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এখন আধুনিক যুগের নবচেতনার যুক্ত হয়েছে এবং অত্যাধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনার সৃষ্টি করে। 
 এছাড়া প্রাচীন যুগে সমাজ ব্যবস্থা স্বাভাবিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চলতো সভাবিক পদ্ধতিতে এখন নবজাগরণের যুগে অত্যাধুনিক যান্ত্রিক যুগে পরিবর্তন হয়েছে এবং মানুষের বসবাস ধারার ও আমূল পরিবর্তন হয়। 
 এমতাবস্থায় বিভিন্ন শিক্ষাবিদ এই শিক্ষা পরিচালন ব্যবস্থাপনার স্বপক্ষে বিভিন্ন মত প্রদান করেন।
 Petar Drueker এর মন্তব্যে ব্যবস্থাপনা হল, এমন এক আধুনিক যন্ত্রাংশ যা একটি বিজনেস কে মেন্টেন ও পরিচালনা সাধন করার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। 
L. A. Appley এর মন্তব্যে, বিভিন্ন মানুষের কর্মের ইচ্ছায় এবং উদ্দামতার সমন্বয়ের কলা হলো ব্যবস্থাপনা। 
 Massie এর মন্তব্য অনুযায়ী, ভিন্ন পরিকল্পনার কর্মসম্পাদন ক্ষেত্রে, কিছু সম্পাদনা নিয়ন্ত্রণ ক্ষেত্ররক্ষার প্রকৃতিই হলো ব্যবস্থাপনা। শিক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যকারী মাধ্যম রূপে বিভিন্নভাবে ব্যবহার হয়। 
H.  এর মত অনুযায়ী, কোন শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এমন হওয়া উচিত যাতে সকলের নিজেও যোগ্যতা মাধ্যমে সঠিক কার্য সম্পাদন করে। 
H.Faiol মন্তব্য আনুসারে, পরিচালনার নির্দেশ সহযোগ আয়ত্ত করাই হল ব্যবস্থাপনার মূল অর্থ। 
Simply এর মত অনুযায়ী, জনমানব কি আধুনিক শিক্ষা ক্ষেত্রে নবজাগরণ প্রদান করা। 
 শিক্ষা ব্যবস্থাপনা আধুনিক যুগের নব চেতনার সাথে এক ধাপ থেকে আরেক ধাপ প্রেরিত হয়। যার মাধ্যমে আধুনিক নবজাগরণ নতুন যুব সমাজকে এক নতুন পথপ্রদর্শক করাতে সহায়তা করে থাকে। এর ফলে শিক্ষার্থীর চিন্তা ধারণা আরো নবজাগরণের দিকে দ্রষ্টব্য করে। 
 কর্তৃত্ব বা আধিপত্যের বলতে সাংগঠনিক দিক গুলি কে বোঝায় এবং যা জনমানবের সমাজের সামনে সকল দিক গুলি সঠিকভাবে প্রদর্শিত করবে। এই পরিচালনা গুলিকে আরো কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে যা নিম্নে আলোচিত হলো।

  •  মানসিক ধারনা গঠন :- এই পদ্ধতিতে মানুষের মানসিক ধ্যান-ধারণার ভাবভঙ্গি মার দিকে নির্দেশ করা। 
  •  দর্শন পদ্ধতির প্রভাব:- এই পদ্ধতি গঠনের মাধ্যমে এক ছাত্র বা শিশুকে সামান্য থেকে এক বৃহৎ মানুষের প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। 
  •  সংগঠনগত পদ্ধতি পরিচালনা: সাংগঠনিক নির্দেশ নিয়মেই দেশের কাঠামো নিয়ন্ত্রিত হয় নতুন তাই এই পদ্ধতিতে রুল ফলো করে চলাই সংগঠন গত পদ্ধতি পরিচালনার নীতি। 
  •  গণতন্ত্র গত পদ্ধতি পরিচালনা: এই পদ্ধতিতে সংশ্লেষিত পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ করাই এই পরিচালনার একমাত্র লক্ষ্য। 
  •  আর্থিক সম্পদ: কোন পরিকল্পনা করতে গেলেও আর্থিক সম্পদ এর প্রয়োজন পড়ে এরপর সেই পরিকল্পনা কে প্রয়োগ করতে ও তার ফলাফল বের করতে গেলেও এর জন্য আর্থিক সম্পদ এর প্রয়োজন হয়। 
  •  সংগঠিত শ্রেণীর সৃষ্টি: সংগঠিত শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি করলে সমাজে নিয়মে চলে তার আর্থিক দিক সঠিকভাবে পর্যালোচনা করে সঠিক পদ্ধতিতে দিক নির্ণয় করা। 

শিক্ষা ব্যবস্থাপনার আধুনিক তত্ত্বটি কি

 আধুনিক যুগে এক ব্যক্তি সঠিক ধ্যান-ধারণা জাগ্রন করা অত্যধিক প্রয়োজন তার চলাফেরা কথাবার্তা পোশাক-পরিচ্ছদ প্রকৃতির ওপর ধ্যান ধারনা গঠন প্রয়োজন। 

  •  শিক্ষা ব্যবস্থাপনার প্রকৃতি :-ব্যবস্থাপনা হল বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্ম সার্থকভাবে প্রধান সহযোগী এক কর্মী তার প্রচেষ্টা গড়ে ওঠে এ ব্যবস্থাপনা যা সুষ্ঠুভাবে কর্ম সম্পন্ন হয়। এই ব্যবস্থাপনাকে তিনটি স্তরে ভাগ করা যায় যথা। 
  • কর্মী সম্প্রদায়
  •  কর্মপদ্ধতি পরিকল্পনা
  •  ফলাফল
 আধুনিককালে পরিচালনা বিজ্ঞান যুক্ত তাই শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করা একটি দিক বিশেষভাবে দেখা প্রয়োজন যা হলো শিক্ষার রূপরেখা প্রয়োগ পদ্ধতি তার নীতি এই সকল কিছু প্রয়োগের ফলে বিভিন্ন স্কুল কিংবা কলেজ বিশেষভাবে এক ভূমিকা প্রদান করে এ ভূমিকা শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় যে রূপরেখা সৃষ্টি করে তারা গুরুগম্ভীর আকার নেয়। 
  •  সমাজের বিভিন্ন প্রক্রিয়াকরণ:- ব্যবস্থাপনা হলো এক সামাজিক প্রক্রিয়া সমাজের বিভিন্ন প্রক্রিয়াকরণ ছাড়া ব্যবস্থাপনা পরিকল্পিত হয় না। 
  •  ভিন্ন বিষয় সূচি সমন্বয়:- ব্যবস্থাপনায় শিক্ষাক্ষেত্র ভিন্ন বিষয় সমন্বয় হলো গাণিতিক সামাজিক বিজ্ঞান ভিত্তিক মনোবিজ্ঞানী অর্থনীতি প্রভৃতি বিষয় সমূহ।
  •  উপাদানের সার্থক সমন্বয়:- উপাদানের সার্থক সমন্বয় দাঁড়ায় বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠে। যেমন মূলধন, কাঁচামাল, শ্রম শক্তি, প্রেষণা, যন্ত্রপাতি,  বাজার ইত্যাদি। 
  •  কর্মকৌশল ও দক্ষতা:- কর্মীদের দক্ষতা ও কর্মকৌশল এর উপর নির্ভর করে ব্যবস্থাপনা অস্থিত্ব অগ্রগতির গড়ে ওঠে। 
  •  সঠিক কর্ম পদ্ধতি অবলম্বন:- একটি সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করার উপর গড়ে ওঠে ব্যবস্থাপনার  কাঠামো কোন কোন লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য যে পন্থা অবলম্বন করা হয় তা সঠিক কর্ম পদ্ধতি অবলম্বন করে এগোতে হয় তাকেই ব্যবস্থাপনা বলে। 
  •  চলমান প্রক্রিয়া:- ব্যবস্থাপনা একটি চলমান প্রক্রিয়া। সময়ের সাথে সাথে ব্যবস্থাপনার নীতি পরিবর্তিত হতে থাকে। এই সকল নীতিগুলো যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায় তাহলেই গতিশীল প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থাপনা সঠিক মান নির্ণয় হয়। 
  •  প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সম্পদের ব্যবহার:- প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সম্পদের ব্যবহার ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করা হয় অর্থাৎ প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা কে প্রভাবিত করে। 
  •  কলাবিদ্যা ও বিজ্ঞানের সংমিশ্রণ:- ব্যবস্থাপনায় কলাবিদ্যা ও বিজ্ঞান কাজে লাগে একদিক থেকে ব্যবস্থাপনা একটি সামাজিক প্রক্রিয়া এর জন্য এতে মানবিকতার প্রয়োজন হয় অন্যদিকে ব্যবস্থাপনাকে একটি লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সুনির্দিষ্ট পথ অবলম্বন করতে হয়। 


Reactions

Post a Comment

0 Comments