অনুষ্ঠানের থিম : পশ্চিমবঙ্গ তুমি কার?
পশ্চিমবঙ্গ নমঃশূদ্রদের।
আমরা যারা ভারতীয় নাগরিক অধিবাসী আমাদেরকে বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হোক। দেশটা তো এদের। এদের সংখ্যা বর্তমানেভারতবর্ষে ১২ কোটি এবং পশ্চিমবঙ্গে ৫ পাঁচ কোটির র উপর। আমরা ভারতীয় নাগরিকদের সংখ্যা মাত্র দু-আরাই কোটি হবে। এদের নিজস্ব কোন দেশ নেই কারণ এরা নিজেদেরকে উদ্বাস্তু বলে এবং সেটাকে গর্বের সাথে ডিক্লেয়ার করে তার সংগঠন তৈরি করে। মানে এদের পার্টিকুলার কোন দেশ নেই এদের মাটির প্রতি কোন দায়বদ্ধতা বা টান নেই যেখানে এদের পেট চলবে নিজেদের মন মর্জি মতো উৎশৃঙ্খলতা করতে পারবে সেইখানে এরা চলে যাবে এবং সেখানে গিয়ে সেইখানকার অধিবাসীদের মাথার উপরের নাচবে তাদের ট্যাক্সের টাকায় প্রতিপালিত হবে তাদের ইকো সিস্টেম নষ্ট করবে তাদের বাচ্চাদের ভ্যাকেন্সি নষ্ট করবে নিজেদেরকে সিডিউল কাস্ট পিছিয়ে পড়া বর্গের নাম করে আর যখন সেখানে আসল অধিবাসীরা সরকারের কাছে আপিল করবে যে তাদের সুরক্ষা এবং তাদের অধিকার বিঘ্নিত হচ্ছে তখন যখন সেই স্থানের সরকার কোন ব্যবস্থা যেটি এনআরসির মতো কঠিন ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চাইবে তখন এরা শাড়ি কাপড় খুলে রাস্তায় নামবে ধর্মঘট করবে এবং তখনংবাং উদ্ভট আইনবিরোধী দেশবিরোধী রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলে নিজেদের দাবি জোড়পূর্বক মানানোর চেষ্টা করবে। যখন সেখানে তদের ভাত গলবে না আবার তারা অন্য কোন স্থানে চলে যাবে এবং সেই স্থানে যাবে বা নতুন দেশের সন্ধান করবে এবং সেই নতুন দেশের সন্ধান করবে যেখানে আবার তারা উৎশৃঙ্খলতাটাকে চালিয়ে যেতে পারে তাদের ঘাড়ে চেপে খেতে পারে। তাই যাদের মনে কোন দেশপ্রেম নেই যারা বাংলাদেশে কেন মায়ানমার কেন কোন পৃথিবীতে কোন জায়গাতেই কোন মাটিকে নিজের করে নিতে পারেনি যারা সেই প্রজাতির নাম নমশূদ্র। এরা কোনদিন কোন দেশের জন্য অর্থাৎ দেশের স্বার্থে বা মাতৃভূমির স্বার্থে কোনদিন কোন সরকার বা বিপক্ষ বা অন্য কোন অপশাসন মূলক শক্তির বিরুদ্ধে কোনদিনও অংশ নেয়নি বিদ্রোহ আন্দোলন কিছু করেনি এরা শুধু স্বার্থ বোঝে , এদের একটা হাত মানুষের পায়ে অন্য আরেকটা হাত মানুষের গলায় থাকে। এই দেশের গাধার বাচ্চার মতো বেশ কিছু এদেশিদের মাথায় এই জিনিসগুলো ঢোকে কিনা জানিনা । আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা সেটা হচ্ছে এদের কোন জাত হয় না এদের কোন ধর্ম হয় না কারণ আপনি দেখতে পাবেন এদের কিছু লোক নিজেদের টাইটেল অধিকারী লেখে যেটা হয়তো বাংলাদেশে অন্য টাইটেল ছিল তার আগে মায়ানমারে অন্য টাইটেল ছিল। আবার আপনি একটু খোঁজ নিলেই দেখতে পারবেন আপনার আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছে যাদের টাইটেল মুখার্জি চ্যাটার্জি ব্যানার্জি অথচ তার কাস্ট সার্টিফিকেট আছে এবং তাতে নমঃশূদ্র এস সি বা সিডিউল কাস্ট উল্লেখ আছে আমি বলছি কারণ আমি এরকম লোক সামনাসামনি দেখেছি।
আপনার বয়স যদি ৫০+ হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই সমস্ত দিনের আলোর মত সূর্যের আলোর মত সত্যি তথ্যগুলোকে যেগুলো আপনি এদেশী হিসেবে অনুভব করেছেন সেগুলো আপনার বাচ্চাদেরকে বলে রাখুন কারণ তাদের কাছে এই তথ্য বা history বা এই গোষ্ঠীর সম্বন্ধে একটি ধারণা থাকা বাঞ্ছনীয় বলে আমি মনে করি।

0 Comments