adsterra

শিক্ষা ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন ধাপ গুলি আলোচনা করো

যেকোনো লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বা সেই লক্ষ্যে নির্ভরযোগ্য হাতিয়ার ব্যবহার করতে ব্যবস্থাপনা একমাত্র সাহায্য কিন্তু ব্যবস্থাপনা সংগঠন কিংবা কোন স্থানের সুপরিকল্পিত দিক নির্ধারণ করতে পারে না। এককথা ব্যবস্থাপনা ভালো আগেকার পরিকল্পিত কোন পরিকল্পনা সঠিকভাবে রূপ প্রদান করার জন্য যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছিল তাকেই বলা হয় ব্যবস্থাপনা যদি ব্যবস্থাপনা ভুল হয়ে থাকে বা সঠিক না হয় তাহলে সেই লক্ষ্যেই প্ল্যানিং অনুযায়ী সেই ভুল নির্ণয় করা হয়। নেতৃত্ব দান এই ব্যবস্থাপনার মধ্যে রয়েছে যাকে আমরা পরিচালক বলে থাকি নীতি নির্ধারণ করে কর্মপদ্ধতিতে রূপ দান করাই হলো এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর উদ্দেশ্য এই পরিচালকের সাহায্যে যেকোনো ভাবে কর্মসম্পন্ন হয়ে থাকে যা ভবিষ্যতের কার্যকারিতাকে সফল বানাতে সাহায্য করে। এইসব স্তরে উপযুক্ত নেতৃত্ব দান থাকলে প্রত্যেকের কাজে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়ে থাকে এই সকল বিষয় গুলি শৃঙ্খলিত হয় যা শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন শ্রেণীর বিভাগ লক্ষ্য করা যায় তা নিম্নে আলোচনা করা হল। 
  •  কেন্দ্রীকরণ ও বিকেন্দ্রীকরণ:- শিক্ষা ব্যবস্থাপনার মূল উদ্দেশ্য গুলিকে দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে যে গুলি হল-  
  1.  শিক্ষায় কেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থাপনা:- কেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থাপনা হল এমন এক বিষয় যেখানে সমস্ত বিষয়গুলো শিক্ষাকে প্রভাবিত করে থাকে ব্যবস্থাপনা হল এমন এক বিষয় যেখানে সমস্ত বিষয় গুলো শিক্ষাকে প্রভাবিত করে থাকে। মানব সম্পদ উন্নয়ন দপ্তর কেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থাপনার একটি উদাহরণ স্বরূপ। শিক্ষার গণবণ্টন করে কেন্দ্রীয় সংস্থা দেশের সর্বোচ্চ স্থানে থাকে। এছাড়াও অন্যান্য সংগঠন গুলি বিভিন্ন বিষয়ে পরিচালিত করে। যেমন পশ্চিমবঙ্গের মধ্যশিক্ষা পর্ষদ উচ্চ শিক্ষা সংসদ সমস্ত পরিকল্পনাগুলো সমস্যাগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করে।
  •  সুবিধা:- শিক্ষাক্ষেত্রে পরিচালনার জন্য এর বিশেষ কয়েকটি দিক যেগুলো সুবিধা রয়েছে সেগুলি হল।
  •  শিক্ষায় কেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাম্যতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।  
  •  শিক্ষায় কেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থার মাধ্যমে শ্রম ও সময় অপচয় কম হয়। 
  •  কেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষায় সমসুযোগের দিকটা স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
  •   কেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থার মাধ্যমে বৈদেশিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সঠিক সুষ্ঠু হয়। 
  •  শিক্ষায় কেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে ভাবের আদান-প্রদান হয়ে থাকে।  
  •  শিক্ষার্থী কোন দকে তার লক্ষ্য স্থির করবে বা সঠিক পথ নির্বাচন করবে সেই দিকে সাহায্য করে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা। 
 2. শিক্ষায় বিকেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থাপনা:- কেন্দ্রীয় সরকার প্রবর্তিত শিক্ষানীতি তার কর্মনীতি ১৯৮৬ সালের সুপারিশ করেছে। শিক্ষায় বিকেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থাপনাকে কেন্দ্রীভূত করে যতদূর সম্ভব এ ব্যবস্থাপনার ওপর পদক্ষেপ নিতে হবে। শিক্ষায় বিকেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থা যাতে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং জাতীয় উন্নয়ন হয় সেদিকেও অংশগ্রহণ করা উচিত। এই সুপারিশ অনুযায়ী বিকেন্দ্রীকরণ কার্যাবলী অর্থ হল নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর শিক্ষার রূপায়িত করা। 
 শিক্ষায় বিকেন্দ্রীকরণের সুবিধা:- শিক্ষা পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষায় বিকেন্দ্রীকরণের সুবিধা কত দূর বিস্তৃত সে সম্পর্কে তার সুবিধা গুলো এর অনেকগুলো দিক দেখা যায় তা নিম্নে আলোচিত হলো। 
  • শিক্ষায় বিকেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থার উদ্দেশ্য গত মাধ্যম হল শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্বর প্রাধান্য দেওয়া। 
  • বিভিন্ন ক্রিয়াকর্ম সম্পাদিত হয় যেমন দেশ তথা শিক্ষার্থী সমাজ শ্রেণীর শিশু প্রতিটি সংস্থা বিশেষ উপযোগী। 
  •  বিকেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থায় পরিচালন সংস্থাগুলি কোন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তপশিলি জাতি উপজাতি এই সমস্ত শিক্ষাবিদদের লক্ষ্য করা যায়। 
  •  এই সমস্ত সংস্থা রাজ্যের বাজেট উন্নয়ন শিক্ষার উন্নতি এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। 
  •  বিকেন্দ্রীকরণ ব্যবস্থায় সঠিক জ্ঞানের পরিপূর্ণতা পায়। 
  •  বাহিরে ভিতরে পরিচালন ব্যবস্থা:- শিক্ষা পরিচালন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বাহিরে ভিতরে পরিচালন ব্যবস্থা বিশেষ দ্রষ্টব্য হয় এই উভয় পরিচালন ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য পরিচালন গঠিত হয় উদাহরণস্বরূপ বলা যায়। 
  •  বাহ্যিক ব্যবস্থাপনা:- শিক্ষায় এই ধরনের ব্যবস্থাপনা শিক্ষার্থীদের পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা অভিযোজন প্রভৃতি দিকগুলো বিচার করতে সাহায্য করে। ভিন্ন সমাজকল্যাণ মূলক মূল্যবোধ এই পরিচালন দ্বারা সৃষ্ট হয়ে থাকে। 
  •  এই বাহ্যিক ব্যবস্থাপনার সুবিধা:- শিক্ষাগত দিক থেকে বাহ্যিক পরিচালন ব্যবস্থা বিভিন্ন রকমের সুবিধা লক্ষ্য করা যায় তা নিম্নে আলোচনা করা হল। 
  •  শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় বাহ্যিক ব্যবস্থাপনা শিক্ষার্থীদের সংগতি বিধানের সাহায্য করে। 
  •  শিক্ষার্থীদের মানসিক যুক্তিকতা প্রকাশ পায় এই বাহ্যিক ব্যবস্থাপনায়। 
  •  এই ধরনের ব্যবস্থা দ্বারা  শিক্ষার্থীদের মধ্যে মূল্যবোধ জাগরিত হয়। 
  •  শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীলতার শক্তির বিকাশ পায় শিক্ষার বাহ্যিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে। 
  •  এই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজেকে ঠিক ভাবে প্রকাশ করতে পারে। 
  •  বাহ্যিক ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশ হয় এবং তাদের মধ্যে মূল্যবোধ ও জ্ঞান মূলক শক্তির সঞ্চার হয়। 
  •  শিক্ষায় আভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা :- শিক্ষায় আভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা পারদর্শিতা মূলক দিক নির্ণয় করে শিক্ষার্থীর মধ্যে যাতে তার প্রবণতা আভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন হয়। এই আভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে যা নিম্নে আলোচনা করা হল। 
  •  আভ্যন্তরীণ শিক্ষা ব্যবস্থাপনার সুবিধা:-
  •   আভ্যন্তরীণ শিক্ষা ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি জ্ঞানমূলক পারদর্শী তাকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছানো। 
  •  আভ্যন্তরীণ শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীর বুদ্ধি তার শারীরিক-মানসিক পরিকাঠামোর বিকাশ হয়। 
     
     
    Reactions

    Post a Comment

    0 Comments