প্রথম জাতীয় শিক্ষানীতি
স্বাধীনতার পরে ভারতের ভবিষ্যত উন্নতির কথা ভেবে জাতীয় শিক্ষায় দেশের উন্নতি সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখে শিক্ষাক্ষেত্রে রামকৃষ্ণ মিশন মুদালিয়া কমিশনের সৃষ্টি হয় কিন্তু এতে কার্যকারিতা সার্থক হয় না। তাই১৯৬৪ সালে চৌদ্দই জুলাই কোঠারি কমিশন নামক একটি কমিশন গঠন হয়। কোঠারি কমিশন এর দোসরা অক্টোবর ১৯৬৪ সালে কাজ শুরু করা হয়। এবং ৩১ শে মার্চ ১৯৬৬ এই কমিশনের ৬৯২পৃষ্ঠায় এই রিপোর্ট ৪৭৯ পৃষ্ঠায় মূল রিপোর্ট পেশ করে সবচেয়ে উঁচু স্তরে শিক্ষার সকল কিছু আলোচনা করা হয়। ১৯৬৮ সালে ভারতবর্ষের সকল স্তরে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়। এবং উল্লেখ করা থাকে ভারত সরকার জাতীয় শিক্ষানীতির সকল কিছু বিকাশের রূপরেখা এর মধ্যে প্রকাশিত হবে। এই কমিশনের মাধ্যমে দিয়েই সর্বস্তরের রাজ্যের এবং সর্ব প্রশাসন ক্ষেত্রে প্রত্যেকেই এর ওপর কার্যকারিতা ভূমিকা গ্রহণ করতে পারবে। এই দায়িত্ব প্রাপ্ত ভার গ্রহণের জন্য একটি খসড়া প্রকাশ করা হয়। একটি কেন্দ্রীয় শিক্ষায় প্রশাসক কেন্দ্রে পেশ করা হয়। এবং পুরোপুরিভাবে শিক্ষানীতি প্রকাশ করেন ১৯৬৮ সালে এই সময় কে আবার কমিশন প্রকাশ বলে বিবেচনা করা হয়। এই কমিশনে যে যে বিষয়গুলি শিক্ষাক্ষেত্রে আলোচ্য তা নিম্নে আলোচনা করা হল।
জাতীয় শিক্ষানীতি কাকে বলে
জাতীয় শিক্ষা নীতি হলো রাষ্ট্রীয় স্তরে শিক্ষা ব্যবস্থার বিকাশ সাধন ও মানোন্নয়নের একটি পরিকাঠামো তৈরি করার নীতি। প্রতি বছর জাতীয় শিক্ষানীতি পরিবর্তন হয় শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন অবনমন এবং তার প্রাক মানোন্নয়নের দিকগুলি মাথায় রেখে এবং তার সাথে আগামী দিনের শিক্ষাক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তা এবং তার সার্বিক মূল্যায়ন ও বিকাশ সাধনের কথা ভেবে শিক্ষানীতি তৈরি করা হয়। জাতীয় শিক্ষা পরিষদ যা দেশের সার্বিক শিক্ষা পরিষদ বা শিক্ষা সংগঠন যা বিভিন্ন শিক্ষাবিদ এবং অধ্যাপক দের দ্বারা সম্মিলিত হয় এবং তাদের ঐকান্তিক আলোচনা এবং বিচার বিশ্লেষণের উপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে।
- এই কমিশনের নীতি দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের জন্য কারণ দেশের নাগরিক দেশের সম্পদ। দেশের সম্পদ যেহেতু দেশের নাগরিক তাই নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকে একজন শিশু শিক্ষার্থী বা ব্যক্তি বলে তাদের শিক্ষার উন্নতি প্রদানে এই কমিশন একান্ত কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করেছে। যাতে দেশের সকল স্তরের মানুষের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে সেজন্য ভারতবর্ষে স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই শিক্ষাকে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়া হয় কারণ শিক্ষার মাধ্যমেই ব্যক্তির উন্নতি আর ব্যক্তির উন্নতি মানে সকল গোটা সমাজের উন্নতি আর সমাজের উন্নতি হলেই তো দেশের উন্নতি হবে। আমাদের সংগ্রাম সালে স্বাধীনতার পক্ষে লড়াই করার নেতারা যারা এই স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত ছিল তারা আজকে আমাদের দেশের উন্নতি ঘটিয়েছে সে শিক্ষার পন্থা অবলম্বন করে এবং তারাই বুঝিয়েছেন শিক্ষার মাহাত্ম্য কতটা আমাদের দেশে ব্রিটিশ শাসকের অত্যাচার এই দেশকে মুক্ত করেছিলেন।
- আমাদের ভারতের সরকার হাজার 968 খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শিক্ষানীতি কমিশন গঠন করে তাহারা দেখেন যে দেশের সম্পদ দেশের অর্থনীতি দেশের বিকাশ দেখে দেশের উন্নতি সাধনের জন্য আগে দেশের মানুষদের শিক্ষায় শিক্ষিত করা উচিত কারণ মানুষ যদি শিক্ষায় শিক্ষিত হয় তবে মানুষের মধ্যে উন্নতি হলে সমাজের মধ্যে উন্নতি আনবে। আর সমাজ উন্নত হলে অটোমেটিক দেশের উন্নতি তো আছে। এছাড়াও আমাদের সংস্কৃতি আমাদের জাতীয় সংহতির রক্ষার্থে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা। এই কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষার সকলকে সমসুযোগ দেয়া হয়েছে সে প্রযুক্তিগত দিক থেকেই হোক বিজ্ঞানী কলা বিভাগ হোক সকল ক্ষেত্রে যে কোন জাতিভেদ প্রথা ছাড়াই শিক্ষায় সমসুযোগের সমানভাবে গ্রহণ করবে এতে নারী-পুরুষ উভয়ের কোন ভেদাভেদ নেই সকলেই সমসুযোগ শিক্ষায় অগ্রাধিকার ভূমিকা গ্রহণ করাতে জাতীয় শিক্ষানীতি গঠন করা হয়েছিল।
- উপরের দুটি আলোচনা ছাড়াও জাতীয় শিক্ষানীতির বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করা হয়েছে যা নিম্নে আলোচিত হলো।
- বাধ্যকতা মূলক ও অবৈতনিক শিক্ষা:- সংবিধানের 45 নম্বর ধারায় বলা হয়েছে শিক্ষার বিশেষ 14 বছর পর্যন্ত সকল শিশুকে বাধ্যতামূলক অবৈতনিক উচ্চশিক্ষা দিতে হবে। প্রতিটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় শিক্ষিত হয় সেদিকে নজর দিতে হবে বিদ্যালয়ের সময়সূচি নির্দিষ্ট করতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট সময় ধরে প্রত্যেকদিন একইভাবে পাঠ্যপুস্তক পাঠ্য দান গ্রহণ করে থাকে।
- শিক্ষকের যোগ্যতা অনুযায়ী তার বেতন তার মর্যাদা প্রদান করা। একজন শিক্ষক হলে সঠিক শিক্ষা দেওয়ার এক ব্যক্তি যে একটি শিশুকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে সমাজে উন্নত যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে যে শিশুকে তার যোগ্যতা তার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা দেবে এবং যে সকল কিছু নিয়ম নীতি এবং সমাজের উন্নতি ও দেশের উন্নতি করাতে শিক্ষায় শিক্ষিত করবে। এর জন্য শিক্ষকের স্থান তৈরি করতে হবে যেখানে শিক্ষকেরা চাকরির সুযোগ পাবে।
- এছাড়াও একজন শিক্ষকই পারেন একজন শিক্ষার্থীকে সঠিক পথ নির্দেশ করতে প্রতিটি গবেষণায় কিভাবে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে প্রত্যেকটি পদক্ষেপের সঠিক কার্যকারিতা সঠিক প্রণালী পদক্ষেপ প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুসরণ করতে শিক্ষক সাহায্য প্রদান করবে।
- এই সকল কিছুর জন্য শিক্ষককে আমরা প্রণয়ন করব সে শিক্ষক তো সঠিক শিক্ষা লাভ গ্রহণ করে সেই গুরুমশাই জায়গায় আসতে তাকে সঠিক জ্ঞান লাভ করতে হবে যাতে সে পাঠদান পদ্ধতি ও একজন শিশুকে সঠিকভাবে প্রদান করতে পারে।
0 Comments