প্রবনতার অর্থ
প্রবণতা কাকে বলে
ইংলিশ ওয়ার্ড “A” দিয়ে তৈরি হল অ্যাচিভমেন্ট আবিলিটি অ্যাপটিটিউড সময় অনুসারে এই তিনটি শব্দের অর্থ সমান অর্থ বহন করে। অ্যাচিভমেন্ট ব্যক্তি সুনির্দিষ্ট সময় ধরে অনুশীলন পর তার ক্ষমতা কতটা অর্জন হয়েছে তা নির্ণয় করে। এবিলিটি হল ক্ষমতা বর্তমান সময়ে সূচিত করে কতটা তা নির্ণয় করে এবং সেই ক্ষমতা প্রদান করে। Aptitudeশব্দের উৎস হল aptosশব্দ থেকে যার মানে হলো fitled
forবা উপযুক্ত। অনেকের প্রবণতাকে বিভিন্ন ভাবে বিশ্লেষণ করে থাকেন, যেমন Bingham, Waren, Traxler প্রভৃতি মতবাদীরা ভিন্নমত দেয়। যেমন হাতের পাঁচটা আঙুল সমান হয় না
তাদের মতবাদ ও খানিকটা তাই কারণ প্রতিটি মানুষের আলাদা আলাদা ভাবনা নিয়ে বাঁচে এটাও তাদের মধ্যকার প্রবণতা ব্যক্ত করে।
প্রবণতা হলো মানুষের মনের দুটি দৃষ্টান্তমূলক দিক। একটি হলো ঘুমন্ত ভাবনাগুলিকে জাগ্রত করা আর অন্যটি জাগ্রত ভাবনাকে আরো আগ্রহ প্রদান করার প্রস্তুতি নেওয়া ও আর Bingham এর মতে প্রবণতা হল ব্যক্তির যেকোনো একটি সুপ্ত ট্যালেন্ট সম্পর্কে জেনে এবং তা সঠিক ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং সেই প্রশিক্ষণ পরিসমাপ্তির পর উন্নত আচরণ সম্পাদন করা। যেমন হলো সংগীতের প্রতি চর্চা বর্তমান সুপ্ত অবস্থা সম্পর্কে জাগ্রত করা।
প্রবণতা বিশ্লেষণ
- প্রবণতা হলো যেকোনো ব্যক্তি নিজের সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়ার পূর্বাভাস।
- প্রবণতা ও power এর পার্থক্য হলো একটি চর্চা অনুশীলনীর মধ্যে ক্ষমতার রূপ নেওয়।
- দুটি সাইকো ফিজিক্যাল ক্যারেক্টার লক্ষ্য করা যায়।
- কোন ধর্মের প্রতি মনোনিবেশ আগ্রহ জাগ্রত হওয়া আর সেই আগ্রহ অর্জনের মাধ্যমে পরিচিত হওয়া প্রতিশ্রুতি জ্ঞাপন করা।
- জেনেটিক মাধ্যমে প্রবণতা বিষয় কিভাবে ব্যক্ত হয়। যে ব্যক্তির মধ্যে সেই স্থায়িত্ব প্রত্যক্ষ করা যায়। প্রবণতা দক্ষতা অর্জনের মাধ্যম ঠিকই কিন্তু নিজে তা সম্পূর্ণরূপে দক্ষতা নয়।
প্রবণতা বৃদ্ধি
যেহেতু Bingham এর ভাষায় প্রবণতা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা জন্মায় সেই অনুযায়ী প্রবণতাও ক্ষমতাকে কত কতগুলি বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। আগ্রহের মধ্যে আভাস পাওয়া ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনুমান করা বিশেষ ক্ষমতার আভাস সম্পর্কে সচেতন হওয়া শেষ হওয়ার পর অনুশীলনীর প্রয়োজন সাধারণভাবে কোনো শিক্ষার্থীর মধ্যে কোন আর্টিস্টিক ব্যাপার সেই সমস্ত বিষয় ভিত্তিক সম্পর্কে তার কতটা প্রবণতা রয়েছে এবং তা আমরা তার কথাবার্তায় আচার-আচরণে উপলব্ধি করতে পারি। এমন অনেক আচরণ আছে যারা শিক্ষার্থীর বিভিন্ন আদর্শকে তার মনের চাহিদাকে অনুপ্রাণিত করে। যেমন, এমন অনেক স্টুডেন্ট আছে যে কম্পিউটারে বিষয়ে দক্ষ কম্পিউটারের ইনপুট সফ্টওয়ার বিভিন্ন ফোল্ডার সম্পর্কে বিভিন্ন রকমের প্রবণতা জন্মায় এবং তাতেই শেষ নয় তাঁর এই প্রবণতা তার মধ্যে কার বিশেষ বিশেষ দক্ষতা গুলিকে বের করে অগ্রগতির পথে উন্নতির পথে প্রেরণ করে এবং তাই সে যদি ভবিষ্যতে যে সম্পর্কে বিভিন্ন জ্ঞান অর্জন করে থাকে এবং সুশিক্ষিত সম্পন্ন হয় তাহলে সে উন্নত মানুষ হবে তার সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠনে সমস্ত রকম দিক থেকে বিচার করলে দেখা যাবে প্রবণতা হলো ব্যক্তি বা শিক্ষার্থীরা দক্ষতাগুলো সম্পূর্ণ রূপে প্রকাশের প্রক্রিয়াকরণ।
প্রবণতা যে
মুহূর্তে প্রশিক্ষণের পর বাস্তবতার ফলে বাস্তব আকার নেয় তখন তাকে এবিলিটি ভুলে থাকি। ইজ ইকুয়াল টু এবিলিটি সাইকোলজিকাল সেই অর্থে বহিঃ প্রকাশ করতে হলে বোথ থিংস অফ দেহ মানসিক প্রক্রিয়াকরণ।
এই প্রবণতা ভবিষ্যতের যুক্তিবাদী ব্যাখ্যা ব্যক্ত করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ ইন সাইন্টিফিক মেথড প্রবণতা হলো শিক্ষার্থীর দৈহিক-মানসিক প্রক্ষোভিক ও ক্যারেক্টারিস্টিক অ্যাটিটিউড ঘুমন্ত অবস্থায় আচ্ছন্ন থাকে বা উপযুক্ত পরিবেশের মধ্য দিয়ে বিকশিত হয় ফলে ব্যক্তি গুণের বহিঃ প্রকাশ পায়।
মানসিক
প্রবণতা প্রবণতা বস্তুকেন্দ্রিক নয় মন কেন্দ্রিক সুতরাং
এই টি হলো মানুষের
মনে নিরন্তর ঘটে যাওয়া কার্যক্রমের কারণ অর্থাৎ শিক্ষাক্ষেত্রে বা সমাজ ক্ষেত্রে
একটি শিশুকে যাই শেখানো হোক না কেন তার
মানসিক প্রবণতা এইটি নিশ্চিত করে যে তার কার্যক্রম
কি হবে বর্তমান জীবনে এবং ভবিষ্যৎ ক্ষেত্রে মানসিক প্রবণতা প্রকারভেদ হয় না। তবে কর্মকেন্দ্রিক ভিত্তি অনুসারে মানসিক প্রবণতা একাধিক হতে পারে মানসিক প্রবণতা সুষুম্নাকাণ্ড বা মেরু দন্ডের
মত যা মানুষকে একই
দিকে একই মানসিক গুণগত ইচ্ছা বা আকাঙ্খা অনুযায়ী
চালিয়ে নিয়ে যায় এবং শিক্ষার্থীরা শিক্ষকঃ এই প্রবণতা কোনরূপ
পরিবর্তন করতে পারে না। কারণ প্রবণতা হলো এক প্রকারের স্বাভাবিক
প্রতিবর্ত ক্রিয়া মানে
যার কোন রূপ পরিবর্তন করা সম্ভব নয় মানসিক প্রবণতা ব্যক্তির আচরণ এবং কার্যক্রমকে চালনা করে এবং তার ব্যক্তি ও সমাজ এর
ওপর নির্দিষ্ট প্রতিবেদন প্রস্তুত করে যা অন্যান্য ব্যক্তিদেরকে
প্রভাবিত করে।
প্রবণতা অভিক্ষা
প্রবণতা বা টেন্ডেন্সি হল জিনগত একটি গঠন কাঠামো রাসায়নিক বা জৈব সুতরাং মানসিক প্রবণতা জিন বয়ে নিয়ে আসে বংশ ক্রমে আসলে মানসিক প্রবণতা বিষয়টি হল মানসিক প্রবৃত্তি তাই এটিকে কোনরূপ ভাবে বা কোন প্রকার শিক্ষাদর্শন মাধ্যমে পরিবর্তন করা যায় না তবে জেনে রাখা দরকার যে মানসিক প্রবৃত্তির প্রবণতা ব্যক্তি-মানুষ কেউই নিজে থেকে চাইলেও পরিবর্তন করতে পারে না হ্যাঁ তাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব কিন্তু সেটি সাময়িক জীবনব্যাপী প্রক্রিয়াতে এই নিয়ন্ত্রণ কখনোই কার্যকরী হতে পারে না
0 Comments